ইন্ডিয়া ভ্রমনে আখাউড়া -আগরতলা স্থলবন্দর

পরিবার বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরতে যাবেন |হাতে সময় অল্প কিন্তু বাজেট টাও পর্যাপ্ত নয় ! ইমেরজেন্সি পেশেন্ট নিয়ে চেন্নাই ,দিল্লি বা মুম্বাই যাবেন | কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত বিমানভাড়া টাও গলার কাটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে | এক্ষেত্রে আপনার সহজতর অপশন টি হচ্ছে ঢাকা থেকে মাত্র আড়াই ঘন্টা দূরত্বের আখাউড়া স্থলবন্দর যার ওপারেই রয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা |বর্ডার থেকে মাত্র আধাঘন্টা দূরত্বেই অবস্থিত আগরতলা এয়ারপোর্ট| (বি :দ্র : শুধুমাত্র আগরতলা পোর্ট এন্ট্রি /এক্সিট রুট থাকলে তবেই আগরতলা পোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন )

ইন্ডিয়া ভ্রমনে আখাউড়া -আগরতলা স্থলবন্দর
পরিবার বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরতে যাবেন |হাতে সময় অল্প কিন্তু বাজেট টাও পর্যাপ্ত নয় !
ইমেরজেন্সি পেশেন্ট নিয়ে চেন্নাই ,দিল্লি বা মুম্বাই যাবেন | কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত বিমানভাড়া টাও গলার কাটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে |
এক্ষেত্রে আপনার সহজতর অপশন টি হচ্ছে ঢাকা থেকে মাত্র আড়াই ঘন্টা দূরত্বের আখাউড়া স্থলবন্দর যার ওপারেই রয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা |বর্ডার থেকে মাত্র আধাঘন্টা দূরত্বেই অবস্থিত আগরতলা এয়ারপোর্ট|
(বি :দ্র : শুধুমাত্র আগরতলা পোর্ট এন্ট্রি /এক্সিট রুট থাকলে তবেই আগরতলা পোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন )
ঢাকা থেকে সারাদিন বেশ কয়েকটি ট্রেন ছেড়ে যায় আখাউড়া এর উদ্দেশ্যে | ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ইন্টারসিটি ট্রেন এ আখাউড়া পৌঁছাতে সময় লাগে দু থেকে আড়াই ঘন্টা |
পোর্ট যেহেতু সকাল ছয় টায় খুলে সন্ধ্যা ছয় টায় অফ হয়ে যায় সেহেতু ভ্রমনের সুবিধাযুক্ত নিম্নোক্ত ট্রেনগুলো :
মহানগর প্রভাতী :
সকাল আট টা বিশ এ বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে সকাল দশ টা ত্ৰিশ এ পৌছায় আখাউড়া
চট্টলা এক্সপ্রেস :
দুপুর একটা ত্রিশ এ বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আখাউড়া পৌঁছায় চার টা বিশ এ
তূর্ণা এক্সপ্রেস :
রাত এগারো টা পঞ্চাশ মিনিটে বিমান বন্দর ছেড়ে আখাউড়া পৌঁছায় রাত তিন টার দিক
এবার আসি আখাউড়া স্টেশন থেকে স্থলবন্দর ও আগরতলা বিমানবন্দর যাবার বর্ণনায় :
স্টেশন থেকে রিকশা তে আখাউড়া স্থলবন্দর যেতে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকা ভাড়া নিবে |
আমার দেখা সবচেয়ে ফাঁকা ,পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং কম হয়রানি মুক্ত পোর্ট হচ্ছে আখাউড়া- আগরতলা |
রিকশা থেকে নেমে ব্যাগ ট্রাভেল ট্যাক্স না দেয়া থাকলে ট্যাক্স দিয়ে বাংলাদেশ অংশের কাস্টমস ইমিগ্রেশন শেষ করে ঢুকে যান ইন্ডিয়া অংশে |
ইন্ডিয়া অংশটুকু বেশ সাজানো গুছানো | অনেকটা এয়ারপোর্ট এয়ারপোর্ট ফিল পাবেন | এপারেও কোনো হয়রানির স্বীকার হবেন না ,এমননকি ডলার দেখা ও ব্যাগ ও খুলে চেক করা কোনোটাই করবে না |
একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন কত যেদিক দিয়ে ই ঢুকেন না কেন আগরতলা দিয়ে বের হওয়ার সময় ডলার ভাঙানোর স্লিপ দেখত চাবেই , না দেখাতে পারলে বিপদে পড়বেন |তাই সাথে স্লিপ সাথে না থাকলেও বানিয়ে নিবেন |বর্ডার এর কাছেই যে কোনো মানি এক্সচেঞ্জার এ 150-200 রুপি দিলই ডলার ভাঙ্গানোরর স্লিপ বানিয়ে দিবে |
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া দুই সাইডের সব অনুঠানিকতা শেষ করতে সর্বোচ্চ দশ -পনেরো মিনিট লাগবে | এতটাই ফাঁকা যে অনেকসময় লাইনেই দাঁড়াতে হয় না |
ব্যাস এবাৰ ইমিগ্রেশন অফিস থেকে বের হলেই দেখবেন অনেক সিএনজি দাঁড়িয়ে আছে (ইন্ডিয়ান রা বলে অটো )|
এয়ারপোর্ট দেড়শো -দুশো রূপি নিবে ,
লাগবে আধাঘন্টা |
এবার আসি বিমান ভাড়া নিয়ে :
ডোমেস্টিক এবং কম পরিচিত এয়ারপোর্ট হওয়াতে আগরতলা থেকে ইন্ডিয়ার সব রুট এই ভাড়া তুলনামূলক কম|
আগরতলা থেকে প্রায় সব রুট এর ফ্লাইট ই কলকাতা ট্রানজিট দেয় | শুধুমাত্র ডাইরেক্ট ফ্লাইট আছে কলকাতা ,চেন্নাই এবং গৌহাটি এর |
1)আগরতলা -কলকাতা :
ঢাকা থেকে কলকাতা বিমান ভাড়া যেখানে পড়ে কম বেশি 6000 টাকা ,সেখানে আগরতলা -কলকাতার টিকেট পেয়ে যাবেন 1300-2500 টাকার ভিতরে(১৫ দিন আগে কাটতে হবে)| মনে রাখ ভালো যাত্রার যত আগে কাটবেন ততো কম পাবেন , যদিও লাক ভালো থাকায় আমি যাত্রার আগের দিন কেটে 1900 করে পেয়েছিলাম |
2)আগরতলা -চেন্নাই :
আগরতলা থেকে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স (দুপুর 12.15) ডাইরেক্ট ফ্লাইট ও বেশ কয়েকটি স্বল্প ট্রানজিট এর কানেকটিং ফ্লাইট রয়েছে |যাত্রার 15 দিন আগে কাটলে 5500 টাকার ভিতরে পেয়ে যাবেন | এমনকি 4-5 দিন আগে কাটলেও 7000 টাকার ভিতরে পেয়ে যাবেন |
3)আগরতলা -দিল্লি :
যাত্রার 15 দিন আগে কাটলেই যা 5500 টাকার ভিতরে পেয়ে যাবেন ,এমনকি কখন ও দিল্লির ফ্লাইট এর ভাড়া 3200 টাকাতেও নেমে আসে |
4)আগরতলা -মুম্বাই :
কলকাতায় সল্প ট্রানজিট সহ বেশ কিছু ফ্লাইট আছে |যাত্রার 15 দিন আগে কাটলেই যা 5500-6500 টাকার ভিতরে পেয়ে যাবেন |
আবারও মনে করিয়ে টিকিট যাত্রার যত আগে কাটবেন ততো কমে পাবেন | এমনকী যাত্রার সাত আগে যা ভাড়া থাকে আগেরদিন তা দ্বিগুন হয়ে যায় |
নিজের ইন্টারন্যাশনাল কার্ড থাকলে MakeMyTrip ,yatra ইত্যাদি এপস থেকে আর ইন্টারন্যাশন কার্ড না থাকল flightexpert. com অথবা fnf tourisom থেকে ঘরে বসেই টিকেট কাটতে পারেন বিকাশ /ডিবিবিএল /ডেবিট কার্ড দিয়ে ,বাংলাদেশী এজেন্সী গুলোর অভিজ্ঞতা থেকে এদের ফেয়ার টাই আমার কাছে সবচেয়ে কম মনে হয়েছে যা অনেক সময় make my trip এর চেয়ে ও কম |
একটা বিষয় সব সময় মনে রাখবেন দেশও দেশের বাইরে যেখানেই বেড়াতে যান না কেনো কোনোঅবস্থাতেই যত্রতত্র প্যাকেট ,বোতল ,ময়লা ফেলে আশে পাশের পরিবেশ নোংরা করবেন না |
ধন্যবাদ সবাইকে

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow